ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে থেমে থেমে যেখানে সেখানে জ্বলে উঠা আগুনের রহস্য উন্মোচনে ওই গ্রামের ১০টি পরিবারের নারীসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার (১ মে) গভীর রাতে উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের ছোট সিঙ্গিয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
রোববার (২ মে) সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী বাবু ও বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুস সবুর আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান দিলিপ কুমার চ্যাটার্জী জানান, গেল কয়েকদিন ধরে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরপর থেকেই রাত্রিবেলা আগুন লাগা বন্ধ এবং দিনের বেলাও আগুন লাগার ঘটনা কমেছে।
আজ রোববার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ১৫ জন পুলিশ সদস্য, ৪ জন গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক ১০টি বাড়িতে নরজদারি করছেন।
ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেনের দাবি, হঠাৎ করেই গোয়েন্দা পুলিশ এসে গ্রামের লোকজনেরাই আগুন লাগিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে মারধর করে নারীসহ ১২ জনকে থানায় তুলে নিয়ে গেছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের ঘরে আগুন দিচ্ছি এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে।
আমেনা বেগম বলেন, আমরা চাই দ্রুত ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও এমন ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাই।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুস সবুর জানান, ঠাকুরগাঁও থেকে গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেই ছেড়ে দিবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ, গেল মাসের ২৯ তারিখে শবে বরাতের রাতে প্রথম আগুনের সুত্রপাত হয়। ওইদিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরের দিন ৩০ মার্চ আগুনে ৩টি পরিবারের ঘর-বাড়ীসহ আসবাবপত্র পুড়ে গিয়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই গ্রামের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে। সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হাড়ি, পাতিলসহ নানা পাত্রে পানি মুজদের পাশাপাশি ৫টি পানির পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ওই গ্রামের আগুনের রহস্য উন্মোচনে গ্রাম পুলিশ ও পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা ও জেলা প্রশাসন থেকে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।